ফটোগ্রাফি ও কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা (দ্বিতীয় অধ্যায়)

ফটোগ্রাফি ও কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা (দ্বিতীয় অধ্যায়)

ফটোগ্রাফি ও কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা (দ্বিতীয় অধ্যায়)

আগের ব্লগে অনেকের কাছ থেকে ইতিবাচক আওয়াজ পেয়ে পেটে চেপে রাখা আরও কিছু বয়ান লিখা শুরু করলাম। লিখা শুরু করতেই আরাম লাগছে। গতবার আমার লেখার ভাষা নিয়ে দু’চারজন কিঞ্চিত কেউমেউ করেছিলেন, এডিট বলে একটা অংশে আরও কিছু অশ্লীল কথা জুড়ে দিয়ে তাদের কেউমেউ বন্ধ করেছিলাম। আমি বাই বর্ন লেখক নই, অতটা এলেম থাকলে ক্যামেরা নিয়ে পাড়াপাড়ি করতাম না। যাই হোক, গতবার কিছু পয়েন্ট বাকি ছিল, এবার আরও কিছু পয়েন্ট গুঁতাগুঁতি করছি। দ্বিতীয় ব্লগে ফটোগ্রাফারদের কিছু ভুল ধারনা ঘেঁটে গন্ধ বের করছি:

১। নলা পুলাপাইনের জন্য অটো মডঃ আর ঘাগু হতে চাইলে ম্যানুয়াল মড, এরকম ধারনা যাদের তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি- ক্যানন, নাইকন, সনি, ইত্যাদি ক্যামেরা যারা বানাচ্ছেন তারা প্রফেশনাল ক্যামেরাতেও অটো মড দিচ্ছেন কি ভেবে? এসব ক্যামেরা যারা বানাচ্ছে উনারা আপনার আমার মত ৫৩টা ফটোগ্রাফার দিয়ে সকালের নাস্তা করেন। অটো মড দেবার অনেক উদ্দেশ্য আছে। পোর্ট্রেইট, ল্যান্ডস্কেপ, নাইট পোর্ট্রেইট, স্পোর্টস ইত্যাদি মডে আপনার ক্যামেরা আপনাকে যেই ছবিটা দেবে, ওইটা ক্যামেরার নিজের ব্রেইন থেকে পয়দা করবেনা, বরং এসব ক্যামেরা কোম্পানির ল্যাবে বসে থাকা পৃথিবীর সেরা সব ফটোগ্রাফারদের অভিজ্ঞতার আলোকে নিজ থেকে মিটারিং করে ছবি তুলবে। অধিকাংশ সময়েই হাবিজাবি ছবি তুলতে অটোমড গুলো ব্যাবহার করা উত্তম। কারণ আপনার সামনে দু’টি সুন্দরী মেয়ে এসে “ডাকফেস” করে বলল “ভাইয়া একটা ছবি তুলে দেন তো” আর আপনি ম্যানুয়াল মডে মিনিট পাঁচেক পৈতালি করলেন, এরকম বেকুব দেখে আজকালকার মেয়েরা ইমপ্রেস হয়না। ক্যামেরার ক্রিয়েটিভ জোন (এ্যাপারচার প্রায়োরিটি, শাটার প্রায়োরিটি, ম্যানুয়াল, ইত্যাদি) মডগুলো আপনার সৃজনশীলতার ক্ষেত্র বড় করে দেয়। তবে ১০০% সময়ে আপনার টেকনিক্যাল সৃজনশীলতা কাজে আসবে তা কি করে ভাবছেন?

২। চ্যাগায় ফ্রেমিং অত্যন্ত ক্রিয়েটিভ: সোজা ফ্রেমিং করলে নিজেদের খ্যাত ভাবার কারণ নেই। ছবিতে অকারণে বাঁকাতরা ঢং করাটাই খেতু কাজ।

৩। ভিনেট মানেই ঘাগু ফটোগ্রাফি: ভিনেট (vignette) চমৎকার কাজের একটি জিনিস, তবে একটা ছবিতে কেন ভিনেটিং করবেন তা ভেবে করুন। আমার জানামতে ভিনেটিং করার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে – (এক) দৃষ্টিটাকে কেন্দ্রে আকর্ষণ করা, (দুই)ফিল্মের আভাস নিয়ে আসা, মানে ফিল্মি লুক দেয়া। আপনার ছবিতে যদি ছবির “সেন্টার অফ ইন্টারেস্ট” না থাকে, তবি অকারণে ভিনেট মেরে কালিয়া বানিয়ে ফেললেন, তবে একটি ধোলাই-যোগ্য অপরাধ করে ফেললেন। বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ডাইরেক্টর নাটক/সিনেমায় ভিনেটের অপব্যবহার আবিষ্কার করেন, যা উনার চ্যালাচামুন্ডারা আজও অব্যাহত রেখেছে। এমনকি ভিনেটিং করলে ঠিক কতটা করবেন সেটাও মাথায় রাখবেন, অযথা ভিনেট ছবির ড্রামা নষ্ট করতে খুব কম সময় নেয়।

৪। লেন্সের সাইজের উপর কুলনেস মাপা হয়: আপনি যদি মনে করেন আপনার অনেক দামি এল সিরিজের সাদা লেন্সটা হাতে নিয়ে ঘুরলে বিষয়টা কুল হয়, তবে আপনি ঠিকি ভাবছেন। অনেক মানষের পশ্চাদ্দেশ প্রজ্বলিত হয়ে যাবে আপনার দামি লেন্সটি দেখে। তবে মানুষের পশ্চাৎ উত্তপ্ত করে আপনার কি লাভ হল ভেবে দেখুন। আলগা ফাপর নিতে গিয়ে ভালো ছবি মিস করে বাসায় ফিরলে কতটা কুল থাকবেন আগেই চিন্তা করে নিয়েন। আর মানুষজনকে দেখিয়ে ঘন ঘন লেন্স পালটালে লাভ কিছুনা, আপনার বডি আর লেন্সের হায়াত কমে খালি। পৃথিবীর সব সেরা ফটোগ্রাফারদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত লেন্স কি গড় করলে দেখবেন ৫০মিমি প্রাইমের নাম উঠে আসবে। সেটাকে আগে মাস্টার করে নিয়ে পরে বাজুকা নিয়ে ভাবয মারা উচিত।

৫। ফটোগ্রাফি মানেই পোর্ট্রেইটঃ আক্কাছ ফটোগ্রাফি, কুদ্দুচ ফটোগ্রাফি, সবার ফ্যানপেজেই যাবতীয় পোর্ট্রেইট দেখে ভাববেন না ঘাগু মাল হতে চাইলে পোর্ট্রেইট তুলতে হবে সবসময়। হাজার বিজার এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন। আমার এক ছোটভাই আমার কাছে ছবি তুলা শিখতে চেয়েছিল। আমি ফটোগ্রাফি শেখানোর মত এলেমদার না হওয়ায় ওকে শিখাতে পারিনি, তবে কিছু আইডিয়া দিয়েছিলাম, এখানে সেগুলাই দিলাম। একটা দিন বাসা থেকে বের হবার সময় ক্যামেরা হাতে কসম করুন আজকে সারা দিন শাটার প্রায়োরিটি মডের বাইরে যাবেন না, আজকের সব এক্সপেরিমেট হবে শাটার-স্পিডের উপর। জুম বার্স্ট, প্যানশট, হাই স্পিড ফটো, লাইট ট্রেইল, লাইট পেইন্ট, ইত্যাদি সব এক্সপেরিমেন্ট করুন। অন্য আরেকদিন নিয়ত করুন এ্যাপারচারের উপর এক্সপেরিমেন্ট করবেন। বিশ্বাস করুন এক মাস পর আপনার নিজের হাত ও মগজের টেকনিক্যাল ব্যালেন্স দেখে নিজেই বেকুব হয়ে যাবেন।

৬। পয়েন্ট এন্ড শ্যুট পিচ্চি পুলাপাইনের জিনিশ: যারা গাবদা সাইজের ক্যামেরার ফাঁকে নিজের পয়েন্ট এন্ড শ্যুট বের করতে লজ্জা পান, তাদের বলছি লজ্জা পাবেন না। আমার ক্লাস এইটে পড়া ছোট্ট ভাগ্নি পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরায় প্রায়ই আমাদের অনেকের চেয়ে ভালো ছবি তুলে ফেলে। এবং পয়েন্ট এন্ড শ্যুট ক্যামেরার পেছনের মানুষটার এলেম থাকলে ডিএসএলআর’এর দরকার কম। আমার পরিচিত বেশ কয়েকজন বিদেশি ফটোগ্রাফার আছেন, যাদের ডিএসএলআর থাকার পরও পয়েন্ট এন্ড শ্যুটে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, কারণ সারাক্ষণ সাথে নিয়ে ঘুরা যায়। আমি নিজেও ইদানীং ডিএসএলআর সাথে না থাকলেও পকেটের এক্সপেরিয়া মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তুলছি, এবং অনেক আরাম পাচ্ছি। এই পয়েন্টে একটা প্রিয় প্রবাদ বলি “Growing up isnt about talking big things, its about understanding small things”.

৭। এক্সিফ বলে দিলে সব শেষঃ অনেক গ্রুপে ঘুরে আমি দেখি বাংলাদেশের অনেক বেশি সংখ্যক ফটোগ্রাফারের মধ্যে জ্ঞান শেয়ার করার আগ্রহ কম। অনেক নবিশরা অনেক কিছু জানতে চাইলে মুরুব্বিরা এড়িয়ে যান। যদি ভাবেন আপনার এক্সিফ বা টেকনিক্যাল ইনফো জানলে আপনার ছবিটার মত আরও অনেক ছবি মানুষ তুলবে, তবে তুলক না। আপনার যদি নিজের ছবির উপর আত্মবিশ্বাস থাকে তাইলে আপনার ছবির চেয়ে ভালো সেই ছবিটা কেউ তুলতে পারবেনা আর যদি তুলেই ফেলে, তবে তার চেয়ে ভালো ছবি তুলার চ্যালেঞ্জ করুন নিজেকে। লাভ ছাড়া লস হবেনা। আপনার কাছ থেকে কিছু শিখে কেউ আপনার চেয়ে ভালো ছবি তুলতে পারলে বিষয়টা আপনার জন্য সম্মানজনক। আমি প্রথম প্রথম ছবি তুলা শুরু করার সময় অনেক বড় গ্রুপের ঘাগু ফটোগ্রাফারদের কাছে অনেক কিছু জানতে চাইতাম, প্রায় সময়ই উনারা আমার মেসেজটা দেখতে পেতেন না। আমি তো ঘাস খাইনা, তাই বুঝতে পেরে সেই মুরুব্বিদের শ্রদ্ধার চোখে দেখা ছেড়ে দিয়েছিলাম। পেটের মধ্যে গুরা-কৃমি থাকলে শিল্পী হয়না, তাদের ফটোগ্রাফার বলা যায়না, ক্যামেরাম্যান বলা যায়। আশা করি পার্থক্যটা জানেন।  অনেক মানুষ আমাকে বিভিন্ন উপদেশ এবং আইডিয়া দিয়ে হেল্প করেছেন যার জন্য আমি হাশরের ময়দান পর্যন্ত তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।

৮। শুনলাম না তোর ক্রিটিসিজমঃ ক্রিটিসিজম হজম করুন, তা থেকে শিক্ষা নেবার উপাদান থাকলে শিক্ষা নিয়ে নিন। প্রতিটা মানুষের আলাদা রুচি, নতুন নতুন আইডিয়া পেতে পারেন তাদের থেকে। আপনার তোলা কোনও একটা ছবি ভালো লাগলে কেন লাগলো পারলে জেনে নিন, বা এ্যানালাসিস করুন। মন্দ লাগলে কেন লাগলো সেটা জেনে নেয়া ফরজ। তবে এটাও মনে রাখবেন কার কথা শুনবেন কার কথা শুনবেন না এটা আগেই নির্ধারণ করে রাখবেন। সবার কথা খেতে হবে এমন কথা নেই, সবার মন জুগিয়ে ছবি তুলতে চাইলে নিজের মনে শান্তি পাবেন না।

৯। ক্রপ করুমনেঃ  না, একটা ছবি ক্রপ করে একটা ছবি বানানো, কাছে গিয়ে ফ্রেমিং করে তোলা ছবি আর দূরে দাঁড়িয়ে জুম করে তোলা ছবি তিনটা তিন ছবি। কোনটাই কোনটার বিকল্প না। ফোকাল লেংথ নিয়ে একটু স্টাডি করুন, তাহলেই বুঝবেন। এখানে বেশি প্যাচালাম না, লাগলে আওয়াজ দিন আমার যদ্দুর জ্ঞান আমি পরে শেয়ার করবো। তবে ক্রপ করার একান্ত প্রয়োজন না থাকলে অকারন ক্রপ-বাজি ছেড়ে-দিন। ছবিটা তোলার সময় আগে পিছে নড়েচড়ে জুম ইন আউট করে ফ্রেমিং করুন। ছবি তোলা নিয়ে সিরিয়াস হলে আলসেমি ছাড়ুন। তবে বাঘ ভাল্লুক কিংবা আরও ডেঞ্জারাস পুলিশের ছবি তুলতে চাইলে তাদের দুরে থেকে জুম করে পরে ক্রপ করাটাই উত্তম। কে চায় তাদের নাস্তা হতে?

১০। ম্যাক্রো মানেই কিট পতঙ্গ: কেন ম্যাক্রো লেন্সে পেলেই মানুষ পোকামাকড়ের ছবি তুলে অস্থির হয়ে যায়? কারণ আমাদের খুব কাছে দেখা পোকামাকড় দেখতে অদ্ভুত সুন্দর, ম্যাক্রো লেন্স ছাড়া সেটা সহজে দেখাতে পারা যায়না। তার মানে এইনা যে আর কিছু না তুলে পোকামাকড়ের ছবি তুলবেন। যে কোনও ইন্টারেস্টিং জিনিসের ছবি তুলুন।

১১। কোর্স শেষ, সব শিখা হয়া গেছেঃ ফটোগ্রাফি স্কুলের কোর্স শেষ? আজ থেকে আপনার শিখা মাত্র শুরু হল। ফ্লিকারে প্রতিদিন রুটিন করে আধঘণ্টা ছবি ঘাঁটুন, কোটি কোটি ফটোগ্রাফারের মধ্যে প্রতিদিনই কম করে হলেও ১০টা ছবি পাবেন যা দেখে তবদা খেয়ে যাবেন। আর যারা কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে পারেন নি তারা পারলে কোথাও বেসিক লেভেল হলেও কোর্স করুন। আর আমার মত দুর্ভাগা হলে ইউটিউবে অনেক ভালো ভালো চ্যানেল আছে যেখানে ভার্চুয়ালি অনেক উচ্চমানের কোর্স করা যায়, সেগুলো ট্রাই করুন। ব্যক্তিগত ভাবে আমি গামছা গলায় ঝুলিয়ে একদল আতেল পোলাপানের সাথে কোর্স করতে অনাগ্রহী হলেও আপনাকে কোর্স করতেই বলবো। কারণ সবাই ভিডিও টিউটোরিয়ালে আরাম পাননা, আমার অভ্যাস আছে, আমি সারাদিনের কাজ শেষে ঘরে ফিরে নখ কাটতে কাটতে অনলাইন ক্লাস করতেই আরাম পাই।

১২। কিট লেন্স একটি খেলনা লেন্স: কিট লেন্স ব্যবহার করা নিয়ে অনেকের অনীহা আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি কিট লেন্স অনেক কাজে দেয়, ছবি তুলতে না, আপনার কি লেন্স প্রয়োজন সেটা নিজেই বুঝতে। সাধারণত কিট লেন্স থাকে ১৮-৫৫মিমি, যেটা ক্যামেরার সাথে ফ্রি আসার কথা, তবে বাংলাদেশে না। এখানে পারলে ক্যামেরার লেন্স ক্যাপ খুলে আলাদা বেচার ধান্দা ফাঁদা হয়। কিট লেন্স সাধারণত সব ধরনের ছবি তোলার ক্ষেত্রে ৬০% কাজে দেয়। কিট লেন্স দিয়ে আপনি মাঝারি কোয়ালিটির ল্যান্ডস্কেপ, পোর্ট্রেইট, গ্রুপ পোর্ট্রেইট, টিপিক্যাল ম্যাক্রো, প্রায় সবই কিছু কিছু করে তুলতে পারবেন। এতে সুবিধা হবে, ক্যামেরা কিনে সব ধরনের ছবি তুলতে তুলতে আপনি আপনার কোন লেন্সটা চাই সেটা নিজেই বুঝতে পারবেন। যারা নতুন ক্যামেরা কিনে ছবি তোলা শুরু করতে চান, তাদের আমি একটাই বুদ্ধি দেই, কিট লেন্স দিয়ে মাস তিনেক ছবি তুলুন, তাহলে জানতে পারবেন কোন লেন্সটা সামনে কিনতে হবে। ক্যামেরা কোম্পানিগুলো বাংলা স্টাইলের ব্যবসা করে না। ওরা কিট লেন্স বানায় যেন আপনি সব ধরনের ছবির টেস্টটা বুঝে ফেলেন, অতঃপর এডভান্সড লেভেলের লেন্স কিনেন তাদের কাছ থেকে। আমার জীবনে তোলা যত ছবি আছে, তার ৯০% কিট লেন্সে তোলা, এবং আমি মহা সুখী সেই লেন্সটা নিয়ে। তবে কিট লেন্স কখনোই ভালো সিরিজের লেন্সের ধারে কাছের জিনিস না।

আমার পরবর্তী আর্টিকেলটা আসছে ফটোগ্রাফ কপিরাইট, ফটো বিষয়ক মূল্যবোধ এবং কপি পেস্ট নিয়ে। এই আর্টিকেলটা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। একই সাথে একটি সুসংবাদ জানাচ্ছি, স্ন্যাপয ম্যাগাজিন নামে বাংলাদেশের প্রথম ফটোগ্রাফি বিষয়ক ডিজিটাল ম্যাগাজিনের দ্বিতীয় ইস্য বের হচ্ছে ইনশাল্লাহ আহামী ১০ই জুন, যেটা ডাউনলোড করতে পারবেন www.snapzmagazine.com এ। আমি এই ছোট ম্যাগাজিনটার অধম একজন এডিটর। প্রথম দু’টা ইস্যুতে স্ন্যাপয নামের গ্রুপের মেম্বাররা শুধু লিখতে, তৃতীয় ইস্যু থেকে ম্যাগাজিনটা পাবলিক প্রোপার্টি হয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী ইস্যু রিলিজ হবে আবার তিন মাস পর, তখন ম্যাগাজিনটাতে আপনাদের অনেকের লেখা দেখতে চাই।

আমার এই আর্টিকেলগুলোতে লেখা সবকিছু একান্তই নিজস্ব মতামত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আকারের ধরা নিজে খেয়ে, অন্যকে খেতে দেখে এইগুলা শিখেছি। ইন্টারনেট থেকেও কিছু তথ্য নেয়া। ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে, ম্যান ইজ মর্টাল। যদি কোনও কিছু ভুল থাকে দয়া করে জানাবেন, আমি শুধরে নেবার চেষ্টা করবো।এবং অনুরোধ, ভুল বুঝবেন না, কাউকে গুতানোর জন্য লেখাটা না, জ্ঞ্যানদান করার জন্য ও না, কিছু ভাবনা শেয়ার করার জন্য লিখেছি, তাই ইনফরমাল।

জুনায়েদ সাব্বির আহমেদ
16-০৭-২০১২
www.zunayed.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *