ক্যামেরাম্যান vs ডিএসএলআর’অলা vs ফটোগ্রাফার

ক্যামেরাম্যান vs ডিএসএলআর’অলা vs ফটোগ্রাফার

ক্যামেরাম্যান vs ডিএসএলআর’অলা vs ফটোগ্রাফার

ছবি তুলাটাই আপনার পেশা? একজন বাস-ওয়ালা, সিএনজিওয়ালা কিংবা গার্মেন্টস শ্রমিক যতটা নিজের পেশাকে ভালোবাসে, ফটোগ্রাফি আপনি সেই পরিমাণ ভালোবাসেন? নেহায়েত রুজি হিসেবে ফটোগ্রাফি নিলে, আপনিই ঠিক!ছবি তুলাটাই আপনার পেশা? একজন বাস-ওয়ালা, সিএনজিওয়ালা কিংবা গার্মেন্টস শ্রমিক যতটা নিজের পেশাকে ভালোবাসে, ফটোগ্রাফি আপনি সেই পরিমাণ ভালোবাসেন? নেহায়েত রুজি হিসেবে ফটোগ্রাফি নিলে, আপনিই ঠিক!
 
 
# ছবিতো ক্যামেরায় ক্লিক করলেই ওঠে। এত কিছু জানার কি প্রয়োজনীয়তা? আর যদি ছবি খারাপ হয়ই ফটোশপ আছে না? ফটোশপ যদি আগা মাথা বুঝতে কষ্ট হয় তাহলে আরও শর্টকাট জিনিস আছে- পিকাসা কিংবা ফটোস্কেপ। কি দরকার হুজ্জতি করার? ফেসবুকে ভাবস মারার জন্যই তো, তাহলে কি দরকার এত কিছু শিখার?- আপনিই ঠিক!
 
# কেউ ভাবেন ছবি তুলতে হবে তোলার মত করে। দরকার পরলে রাস্তায় শুয়ে পরতে রাজি। বৃষ্টি মাথায় দৌড়াদৌড়ি করে ছবি তুলতে হবে। ৪দিন প্ল্যান করে পোস্টপ্রসেস করতে হবে। তারপর আপলোড করে সিরিয়াস হয়ে যেতে হবে। -আপনিই ঠিক।
 


 
তিন ধরনের লোক আছে বাজারে, যাদের হাতে ক্যামেরা দেখা যায়। আমি উপরে তিন ধরনের লোকের কথাই বললাম, তারা সবারই নিজ নিজ স্থান থেকে ঠিক। এবারের আর্টিকেলে কথা কম, ছবি বেশি। এখানে ব্যবহৃত প্রতিটা ছবি ইন্টারনেট থেকে নেয়া। এদের কারোই অনুমতি নেইনি মালিক খুঁজে পাইনি বলে। আরেকটা স্পেশাল ছবি অনুমতি নিতে গেলে পেতাম না, আর সেই ছবিটা না দেখলে মানুষও আনন্দ পেতোনা আমিও পেতাম না। কথা না বাড়িয়ে এদের তিন গোত্রের নাম ও সচিত্র কিঞ্চিত বর্ণনা:
 
ক্যামেরাম্যান: এই গোত্রের লোকেরা দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন বিয়ে শাদি জন্মদিনে এঁদের দেখা যেতো। কিন্তু মোড়ের স্টুডিওগুলোর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর দ্বিতীয় গোত্রের লোকজন বেড়ে যাওয়ায় তারা মার্কেট থেকে আউট-রান হয়ে যাচ্ছেন। ইনাদের ফেসবুকে তেমন দেখা যায়না।
 
ডিএসএলআর ওয়ালাঃ কনফিউজড হবেন না, ফটোগ্রাফার নয়, ডিএসএলআর ওয়ালাদের কথা বলছি। তারা কেন ফটোগ্রাফার নন সেটা জানতে আমার আগের আর্টিকেল পড়ুন, একই কথা বারবার পেঁচাতে চাইনা। আমার নিজস্ব গবেষণা মতে প্রতিটা চেহারা ভালো মেয়ের কমপক্ষে দু’টি করে ডিএসএলআর-ওয়ালা ফেসবুক ফ্রেন্ড আছে।
 
ফটোগ্রাফার: এই গোত্রের লোকজন অনেক সিরিয়াস। ফটোগ্রাফি নিয়ে রঙ তামাশা সহ্য করতে পারেনা। তাদের কাছে পৃথিবীটা একটা ৩৬০ডিগ্রি ফ্রেম। কাজ না থাকলে এবং হাতের কাছে ক্যামেরা না থাকলেও এরা এক চোখ বুজে মাথা ঘুড়িয়ে ঘুড়িয়ে আশেপাশের জিনিশ গুলাকে নিয়ে কাল্পনিক ফ্রেমিং করেন। উনাদের কাছে যে কোন কিছুর গতি, যেমন গাড়ির স্পিড বা কুত্তার দৌড়ানি, সবই শাটার-স্পিডে হিসেব করা। যে কোনও লাইট দেখলে উনারার এ্যাপারচারের হিসেব চিন্তা করতে থাকেন নিজের অজান্তেই। আর টাকা জমানো বড়ই কষ্টের কাজ এদের কাছে।
 
জুনায়েদ সাব্বির আহমেদ
১২-০৭-২০১২
www.zunayed.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *