একটি ফিউচার ফিকশন

একটি ফিউচার ফিকশন

একটি ফিউচার ফিকশন

লেখাঃ জুনায়েদ সাব্বির আহমেদ
সম্পাদনাঃ অভিজিৎ আসাদ

কাশেম আর আম্বিয়ার বিয়েটা প্রেমের ছিল। প্রতিটি উথাল-পাথাল পালিয়ে বিয়ে করা প্রেমের মতই তাদের জীবন অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে একসাথে শুরু হয়েছে। আম্বিয়া সম্ভ্রান্ত রক্ষণশীল পরিবারের মেজো মেয়ে, কাশেম যক্ষারুগী বাপের সেবা করা বড় ছেলে।

প্রাচুর্যের মাঝে বড় হওয়া আম্বিয়া কখনো অভাব দেখে নি। তার জমিদার বড়-দাদা মৃত্যুর আগে তাঁর একমাত্র ছেলেকে কাছে ডেকে বলেছিলেন, “মতিন, আমি তোমার জন্য যে সম্পত্তি রেখে যাচ্ছি, তোমার ১৪ পুরুষের কিছু করে খেতে হবে না।” ছেলের হাতে নগদ পাঁচ লক্ষ ফলোয়ার, সিন্দুকে দশ লক্ষ লাইক আর আত্মীয় স্বজনের কাছে হাজার-বিজার কমেন্ট রেখে মারা গিয়েছিলেন তিনি। মতিন সাহেব অত্যন্ত বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন আর বৈষয়িক হওয়ায় সোশাল মিডিয়ায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে এক পুরুষে সেই টিলা পরিমাণ সম্পদকে পাহাড় করে ফেলেছেন। লক্ষ লক্ষ সেলফি তুলে আর দিনরাত ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান খেলে ফ্রেন্ড লিস্টের পরিধি আর ফলোয়ারের সংখ্যা আরো বাড়িয়েছেন। তিনি মারা যাবার সময় অনেক আফসোস নিয়ে মারা গিয়েছিলেন, কারণ তাঁর একমাত্র পুত্র বজলু, আম্বিয়ার বাবা,তার মত হতে পারে নি।

ছোটবেলা থেকে বজলু সাহেব একটু ভিন্ন প্রকৃতির। বাবার কমেন্ট-লাইক-শেয়ারের লোভকে সে ঘৃণা করতো। বন্ধুবান্ধবের হাসাহাসি, বাবার চোখ কটমট করে তাকিয়ে থাকা অগ্রাহ্য করে সে নকিয়া ১১০০ সেট ব্যবহার করতো। একদিন গ্রামীণফোন থেকে আসা এসএমএস পেয়ে সে জানতে পারে যে ইন্টারনেট ছাড়াই এখন ফেসবুক ব্যবহার করা যায়, এসএমএস করেই। তখন সে তার ফিচার ফোনটিও ফেলে দেয়। এরকম বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ায় অগ্নিশর্মা মতিন সাহেব রেগে গিয়ে ভেবেছিলেন ছেলেকে বাসার ওয়াইফাই বন্ধ করে দেবার মত ভয়ঙ্কর শাস্তি দেবেন, কিন্তু এতে বজলু শাস্তি না পেয়ে বরং নিজেই শাস্তি পাবেন বলে রাউটার বন্ধ করা থেকে বিরত থেকেছেন। কিন্তু ছেলেকে কী শাস্তি দেয়া যায় ভেবে অনন্ত সময় কেঁদে কেঁদে সেলফি তোলার পর শেষ পর্যন্ত কিছু ভেবে না পেয়ে ছেলের ভবিষ্যতের চিন্তায় মতিন সাহেব মৃত্যশয্যায় পড়লেন। সারাদিন হাসপাতালে শুয়ে স্ন্যাপচ্যাটের জন্য সেলফি তুলেও মৃত্যুকে পাশ কাটাতে পারলেন না। মরার আগে ছেলের মুখ দেখে যেতে ছেলেকে হোয়াট্‌স্‌অ্যাপ-এ শর্ত দিলেন – বজলু যদি ফেসবুকে না হলে অন্তত লিঙ্কড্‌ইন-এও যদি প্রোফাইল খোলে, তাহলে সেটা দেখে তিনি মরবেন। আফসোস, বজলুর ফোন না থাকায় বাবার শেষ ইচ্ছা পুরণ করাও তার হল না।

নিজে একটু ভিন্নরকম হবার কারণেই হয়তো আম্বিয়ার বিয়েতে তার মায়ের প্রবল আপত্তি থাকার পরেও বজলু সাহেব সমর্থন দিয়েছিলেন। মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলেছিলেন, “লাইক-কমেন্ট এগুলো থাকা-না থাকা বিষয় না,কাশেমের মনে ভালোবাসা থাকলে তুমি এগিয়ে যাও।” আম্বিয়ার মা চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, “মুখপুড়ি, তোর মুখ দেখতে চাই না, ওই গরিবের ছেলের প্রোফাইলে মাত্র ৫৩ জন ফলোয়ার, প্রোফাইল ভর্তি মুরাদ টাকলার কমেন্ট, এই নিচু বংশে তোর বিয়ে হবার আগে তোর মরা মুখ দেখলাম না কেন?”

মায়ের কান্না আম্বিয়াকে ছুঁতে পারেনি। কাশেমের ট্যারা চোখ ঢাকা সানগ্লাস পড়া হানি সিং হেয়ারকাটের ছবি, আর বাইকে বসা কভার ফটোতে “কেমন আছ ফ্রান্স” ক্যাপশন দেখে সত্যিকারের মনের মানুষ খুঁজে পায় সে। তার মাঝে টাইমলাইন স্ক্রল করে সানি লিওনির ফিল্ম আপডেট এবং একই সাথে জাকির নায়েকের “শেয়ার করে অশেষ নেকি হাসিল করুন” পোস্ট দেখে সে তার মাঝে চিনতে পারে কোমল কঠোর এক প্রেমিক পুরুষকে। এর মধ্যে ফেসবুকের ফাও এক ম্যাচমেকিং অ্যাপ একদিন বলে দিলো তাদের দুজনার প্রেম ৯৭% সফল হবে, এর পর আর বিশ্বাস না করার কী থাকতে পারে। কাশেমের লাইক আনতে কমেন্ট ফুরায় সংসারে সে কীভাবে জীবন কাটাবে তা নিয়ে এক মুহূর্তও না ভেবে আম্বিয়া কাশেমের হাত ধরে ছুটে গেছে অজানার পথে।

বিয়ের প্রথম রাতের সুখের রেশ কাটতেই বাস্তবতা ধাক্কা মারে আম্বিয়াকে। ঘুম থেকে উঠে ঘণ্টা দুয়েকের মেকআপ সেরে ছোট্ট রুমের সব কোণায় কোণায় বসে সকাল থেকে শ’তিনেক সেলফি তুলে আপলোড করতে গিয়ে আম্বিয়া আবিষ্কার করে কাশেমের দেড় রুমের আধ-বারান্দার ফ্ল্যাটে ওয়াইফাই রাউটার নেই, রাস্তার ওপারের বাড়ির বোকা ভাড়াটিয়ার পাসওয়ার্ডবিহীন ওয়াইফাইতে ঢুকতে চাইলে বারান্দায় গিয়ে রেলিং দিয়ে ঝুঁকে থাকতে হয়। আম্বিয়ার সাথে প্রেম করার সময় কাশেমের পাঠানো প্রায় সব সেলফিতে কেন #ChillingAtBaranda#UnlimitedInternet #MyLifeRocks লেখা থাকতো তা এবার পরিষ্কার হয়ে আসে। তখনই সে দেখতে পায় বাথরুমের পাশে চৌকি পেতে সারাদিন শুয়ে থাকা কাশেমের যক্ষারুগী বাবাকে। একছুটে শ্বশুরের পাশে গিয়ে ঝটপট সেলফি তুলতে শুরু করে আম্বিয়া। আম্বিয়ার ডাকফেস করা মুখের পাশে কাশেমের বাবার কাশির লালা-ঝোলা ছবি তুলে #DadInLaw #NoMakeup #JokkhaValoHoy লিখে ইন্সটাগ্রামে আপলোড দিতে আবার বারান্দায় ছুটে যায় সে।

ছবি আপলোড হতে না হতেই তার বেস্ট ফ্রেন্ড তার নিচে কমেন্ট করে, “তোদের দারোয়ান? তুই অনেক কুল!দাঁড়া, আমি আজকে আমাদের ড্রাইভারের সাথে ছবি আপলোড করে সবাইকে দেখাবো আমি কত মাটির মানুষ।”বেস্টির রিটার্ডেডনেস দেখে আম্বিয়া কষ্ট পেয়ে তাকে “f**k u b**ch” লিখে নগদে ব্লক করে দেয়। এরপর ফ্রন্ট ক্যামেরা অন করে এক গালে আঙ্গুল দিয়ে লাইভ ভিডিও করা শুরু করে, “হ্যালো ফ্র্যাঙ্কস, আম্মি এক্ষন কই আছি জান্নো? বলো তো কই আছি! বলতে পারলে একটা কিসসি, না পাল্লে এত্তগুলা পিট্টি!”  ভিডিও আপলোড করার সময় আপলোড স্পিড দেখে আম্বিয়াকে প্রথমবারের মত বাস্তবতা ধাক্কা মারে। বাসায় ফেলে আসা হাই-স্পিড ওয়াইফাই লাইনে জীবনে তাকে বাফারিং সাইন দেখতে হয় নি। অবাক চোখে ধীর গতিতে আপলোড হওয়া দেখে চোখ ভিজে আসে তার।

ঘরে ঢুকে স্মার্টফোন চার্জ দেবার সময় আম্বিয়া আবিষ্কার করে ঘরে একটাই পাওয়ার সকেট, এবং সেখানে তার অসুস্থ শ্বশুরের টর্চলাইট চার্জে দেয়া। আম্বিয়া অবাক হয়ে ভাবতে থাকে, এই যুগে ফোনের এলইডি ফ্ল্যাশ থাকতে টর্চ ব্যবহার করতে পারে কারা। এমন সময় কাশেম ঘুম থেকে উঠে আম্বিয়াকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে টপাটপ সেলফি তুলতে শুরু করে। কাশেমের এহেন রোমান্টিক ব্যবহারে আম্বিয়ার মনের ক্ষণিকের অনুশোচনা আর দুঃখ নিমেষেই বাতাসে মিলিয়ে যায়। মনে মনে সারাজীবন সে এমন স্বামীই চেয়েছিল, তাকে যে এত ভালোবাসবে,তাদের দিনের প্রতিটা মুহূর্ত সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে জীবন রাঙিয়ে রাখবে। ছবি তোলা শেষে বারান্দায় বসে কাশেম নিজের দুই ডজন সেলফি তুলে সব ছবি ফেসবুক আর স্ন্যাপচ্যাটে আপলোড করে কমেন্ট আর লাইকের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকে।

অন্য দিকে সকালের প্রাত্যহিক সোশাল মিডিয়ার দায়িত্ব সেরে আম্বিয়া প্রথমবারের মত শ্বশুরবাড়ির বাথরুমে ঢুকে আবিষ্কার করে বাথরুমে কোনো লাইটবাল্ব নেই, টর্চলাইট এ কারণেই রাখা। ফেলে আসা জীবনের কথা মনে করে আম্বিয়া আবার একটু কষ্ট পায়, জীবনে এমন কোন বাথরুমে সে ঢোকেনি যেখানে সে পঞ্চাশটার নিচে সেলফি তুলেছে। কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি বাথরুমে সেলফি তুলতে চাইলে সেখানে টর্চলাইট নিয়ে ঢুকতে হবে। বদনায় পানি ঢেলে কান্নার শব্দ ঢাকতে আপ্রাণ চেষ্টা করে সে। কিছুক্ষণ পর চোখ মুছে বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখে বাজারের ব্যাগ হাতে কাশেম দাঁড়ানো, তার মুখভর্তি হাসি।

কাশেমের মুখের হাসি দেখে আবারও সব কষ্ট ভুলে যায় আম্বিয়া। কাশেম খুশিতে ডগমগ হয়ে বলে ওঠে, “ও গো,শুনছো! দেখেছো, তোমার-আমার সেলফিতে কত লাইক আর কমেন্ট জমেছে? আমার সব বন্ধুরা লাইক দিয়েছে,এমনকি আমার ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান ফ্রান্সরাও তোমার ডাকফেস দেখে লাইক দিয়েছে। শুধু আমার সবগুলো ছবিতে অবশ্য একজন ধৈর্য ধরে ‘ঘরে বসে লাইক দিয়ে মাসে এক লাখ টাকা কামান’ কমেন্ট করেছে। তাতে কী? এই সংসারে কখন এক দিনে এত লাইক জমে নি। আজকে আমরা পোলাও খাব!”

এভাবেই শুরু হয় আম্বিয়ার দ্বিতীয় জীবন। আস্তে আস্তে খাপ খাইয়ে নিয়ে আসে নিজেকে কাশেমের অভাবের সংসারে। সকালের দুই ঘণ্টার মেকআপ সেশন নেমে আসে সোয়া এক ঘণ্টায়, প্রথম বারের মত অনুভব করে পনের ফুট বাই নয় ফুট আয়তনের রুমে বসে দুই লক্ষের বেশি সেলফি তোলা যায় না, বারান্দার রেলিং থেকে ঝুঁকে ওয়াইফাই ধরাটাও ভালোই লাগতে শুরু করে। যক্ষারুগী শ্বশুর প্রতিদিনের রুটিনমাফিক দুপুরের কাশির বেগ থামার পর পুত্রবধুকে নিজের মেয়ের মত যত্ন করে টর্চলাইট কীভাবে অন-অফ করতে হয় তা আস্তে আস্তে শেখানো শুরু করেন। কোন অ্যাপ ছাড়াই কীভাবে লাইট জ্বলে ওঠে এটা বুঝতে আম্বিয়ার শুরুতে বেশ কষ্ট হলেও মন দিয়ে শেখা শুরু করে টর্চলাইট জ্বালানো। শুধু শ্বশুরের কাশির থুতু ছেটানো ছাড়া এই সময়টা আম্বিয়ার বেশ ভালোই লাগে।

অন্যদিকে বিয়ের পর বদলে গেছে কাশেমের জীবন। বিয়ের রাতেই নিউজ ফিডে সে দেখতে পায় একটি কাঁঠালের ছবির পোস্ট, যাতে লেখা ‘শেয়ার করে ভাগ্য ফেরান। শেয়ার করা ব্যাক্তি লটারি জিতেছেন, এবং অবিশ্বাস করা ব্যক্তিরা এখন কমলাপুরে মুরগি বেচে।” কাশেম কখনও লটারিতে বিশ্বাস করেনি, তবে কখনো মুরগি বেচতেও চায়নি। তাই বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝামাঝি অবস্থা থেকে পোস্টটা শেয়ার করেই বসে। তার পরদিনই লটারি জেতার মত করেই তার ভাগ্য খুলে যায়। বউয়ের সাথে তোলা সেলফিতে বয়ে যায় লাইকের বন্যা, ঘরে বসে শুধু লাইক দিয়েই কামাতে থাকে নগদ টাকা, ঝড়ের বেগে বেড়ে চলে ফলোয়ার। উন্নতির সাথে সাথে ধার্মিকও হয়ে ওঠে কাশেম,বিভিন্ন সওয়াব কামানোর পোস্ট শেয়ার করে অনেক সওয়াব কামাতে থাকে, আস্তে আস্তে পরকালের দরজা সুগম হয়ে আসে তার জন্য। একই সাথে জীবনের সেরা সুযোগ চলে আসে তার, জনপ্রিয় পেজ রেডিওকুদ্দুস থেকে তাকে অ্যাডমিন হতে আহ্বান করা হয়। সোনার খনি পাবার এই আনন্দে স্ত্রীর জন্য অনলাইন শপ থেকে কাশেম অর্ডার করে সানি লিওনি হিজাব। খুশিতে আটখানা হয়ে সেই হিজাব মাথায় দিয়ে কোমর বাঁকিয়ে আম্বিয়া তুলতে থাকে একটার পর একটা সেলফি।

কিন্তু জীবন ছবির ফ্রেমের মত সুখের ফ্রেমে আটকে থাকে না। একদিন আম্বিয়া বারান্দায় বসে ভিডিও ব্লগ বানানোর সময় বাসার নিচ থেকে ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে বেজে ওঠে ভিআইপি হর্ন। আম্বিয়া নিচে চেয়ে দেখে তার ব্লক করা বেস্টি মর্জিনা বাপের সরকারি স্টিকার লাগানো পাজেরোর স্কাইরুফ দিয়ে মুখ বের করে নাম ধরে ডাকছে আম্বিয়াকে। পাছে ময়লা বারান্দায় ছবি তুলে আপলোড করে দেয় এই ভয়ে আম্বিয়া চিৎকার করে মর্জিনাকে দাঁড়াতে বলে ছুটে চলে আসে নিচতলায়। দুজনেই বহুদিন পর বেস্টিকে কাছে পেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে গালে গাল লাগিয়ে ডাকফেস করে সেলফি তোলা শুরু করে। আশি-নব্বইটা ছবি তোলার পর মর্জিনা বলে “অওওও, তুই কী কিউট,কেমন আছিস?”

“ভালো, তুই কেমন আছিস, বেস্টি, এখানে কীভাবে?”

“আর বলিস না, আমার গরিব ফুপুর বাসায় এসেছিলাম, ওরা এত গরিব যে ওদের বাসায় সবাই ভাগাভাগি করে একটা স্মার্টফোন ব্যবহার করে, ছিঃ!”

একটু দমে যায় আম্বিয়া তার বেস্টির কথা শুনে। বেস্টি তার ঘরের অভাব-অনটনের কথা জানলে তাকেও গরিব ভাবলে তার কী হবে? বেস্টিকে ঘরে যেন নিতে না হয়, তাই তড়িঘড়ি করে বলে ওঠে, “চল আমরা শীশা লাউঞ্জে যাই, আগের দিনগুলোর মত!”

“ইয়েস! শেষ কবে যে মুখে ধোঁয়া নিয়ে সেলফি তুলেছি তা তো ভুলেই গেছি! চল!” বলে মর্জিনা।

পাজেরো স্টার্ট নিয়ে সামনে এগোতে শুরু করে। কিন্তু তখনই ঘটে অঘটন।

[To be continued?]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *